
মূলত বাসন্তীপুজো ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। এই পূজার ষষ্ঠীই হল অশোক ষষ্ঠী। সপ্তমী তিথি বাসন্তী পূজা, অষ্টমীতে অন্নপূর্ণার আরাধনা, নবমীই হল রাম নবমী। আজ সেই দিন। শারদীয় দুর্গোৎসবের মতই সব নিয়ম মেনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজন বাসন্তী পূজা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালন করে থাকেন।
শাস্ত্রমতে বলা হচ্ছে, চলতি বছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর দেবীর গমনও হতে চলেছে গজে। জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, দেবীর বাহন যদি গজ বা হাতি হয়, তাহলে তার ফলাফল হয় শস্য শ্য়ামলা বসুন্ধরা। এতে মনে করা হয় বিশ্বে অর্থ, সমৃদ্ধি বাড়ে।

প্রসঙ্গত, হিন্দু ও বাঙ্গালীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা ৷ আশ্বিন মাসে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা হলেও কালের পূজা হল চৈত্র মাসে ৷ চৈত্র মাসের এই পূজা বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত ৷
পুরাকালে মহারাজ সুরথ এ পূজার প্রচলন করেছিলেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে শ্রী রাম চন্দ্র শরৎকালে রাবন বধের উদ্দেশে দেবী দূর্গার আরাধনা করেছিলেন। তখন থেকে শরৎকালে শারদীয় দূর্গাৎসব পালন করে আসছেন হিন্দু ধর্মের মানুষ।